জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু এজেন্ডা হিসেবে গৃহীত বাংলাদেশের পক্ষে ১৩৫টি ভোট এবং মিয়ানমারের পক্ষে মাত্র ১০টি দেশ ভোটদেয়। এ সময় ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল আরও ২৬টি দেশ।
গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন অঞ্চলে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ঢল। আট সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রোহিঙ্গাদের আসা এখনও বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে গত কয়েক দশক ধরে।
মিয়ানমারের নেত্রী সু চি সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’ হিসেবে বর্ণনা করলেও জাতিসংঘ একে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে।
স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, অভিযান শুরুর পর এক মাসেই রাখাইনে ২৮৮টি রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে; সেই বর্বরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট’ বলে উল্লেখ করেছে।
সূত্র:বিডি২৪লাইভ
Leave a Reply